শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি :
বগুড়ার শেরপুরের গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবীতে গতকাল সোমবার সকাল থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাশ বর্জন করেছে। অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের আলটিমেটাম দিয়েছে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা। প্রধান শিক্ষকের এহেন কার্যকলাপ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঞ্জুমান আরা খানমের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে ম্যানেজিং কমটির সদস্য, অভিভাবক ও এলাকাবাসী নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করার কারনে প্রধান শিক্ষক তার প্রতিষ্ঠানের পিএসসি পরীক্ষার্থী রিফাত,হৃদয়,জিহাদকে ক্লাশ করতে না দিয়ে গত রোববার তার কক্ষে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আটকে রেখে নিজে দূর্নীতি থেকে বাঁচার জন্য ওই শিক্ষার্থীদের দিয়ে জোরপূর্বক একই স্কুলের সহকারি শিক্ষক জিয়াউল ইসলাম জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা স্বাক্ষী দেওয়ার কথা বলেন। ছাত্রদের আটকের ঘটনা জানাজানি হলে অভিভাবকেরা স্কুলে এসে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা গতকাল সোমবার সকালে ক্লাশ বর্জন করে এবং অভিভাবকদের সাথে নিয়ে দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আঞ্জুমান আরা খানমের অপসারণের দাবীতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শত শত এলাকাবাসি জড়ো হয়। বিক্ষোভকারী অভিভাবকদের সাথে কথা বললে তারা জানান- প্রধান শিক্ষকের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠাবো না। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আঞ্জুমান আরা খানম সাংবাদিকদের জানান- কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে আমি জড়িত নই তবে আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তা আমি মেনে নেব। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ জানায় নি। যদি এ ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিয়াকত আলী সেখ বলেন- তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।